বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:২৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইসি: কিন্তু…

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইসি: কিন্তু…

dynamic-sidebar

 

অনলাইন ডেস্ক :: কমিশন সভায় বেশ কয়েকবার ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) দিয়ে আলোচনায় আসা কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, অনিয়মের কারণে বরিশাল সিটি নির্বাচন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি), কিন্তু তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি বিশেষ সভায় বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও সব মহানগর পুলিশের কমিশনার, উপমহাপরিদর্শক ও সব জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)। কমিশনের পক্ষ থেকে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) চার কমিশনার ও ইসি সচিব। তাদের সবাইকে সামনে পেয়ে বরিশাল ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় তুলে ধরেন তিনি। এসময় ওইসব নির্বাচনকে ‘কিছু কাঁটার আঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। ইসির একটি সূত্রে তার সেই বক্তব্যের কপি গনমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসেছে। মাহবুব তালুকদারের লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, সংসদ নির্বাচনেও এই দুই সিটির ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্মকতাদের কাছে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এই কমিশনার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বিশেষ সভায় লিখিত বক্তব্য রাখার খুব একটা রেওয়াজ নেই। কিন্তু আজ আমি আপনাদের সামনে ব্যতিক্রম হিসেবে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করছি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই আমরা দুটো উল্লেখযোগ্য নির্বাচন শেষ করেছিলাম। একটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং অপরটি রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই দুটো নির্বাচনে আমরা সুনামের সঙ্গে উতরে গেছি বলে অনুমান করতে পারি। কারণ এ দুটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ শোনা যায়নি। বলতে দ্বিধা নেই, এই দুটি নির্বাচনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনমানসে একটি আস্থার স্থান তৈরি করে নিতে পেরেছে। পরবর্তী সময়ে খুলনা গাজীপুর বরিশাল রাজশাহী ও সিলেট যে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন। আমি খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে কোনো কথা বলব না। তবে যেহেতু আমি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একক দায়িত্বে ছিলাম, সেহেতু এই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

‘বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে আত্ম-বিশ্লেষণের তাগিদেই আমি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন যে, কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নয়, কারও দায়িত্ব পালন অবমূল্যায়ন করার জন্য নয়, বিষয়গুলো উপস্থাপনা করতে হচ্ছে, পূর্বের সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে পেতে এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনুরূপ সমস্যা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেই পথ সুগম করতেই এই আলোচনা।’

বরিশাল সিটি করপোরেশন:-
বরিশাল সিটি কর্পোরশনের নির্বাচনের দায়িত্বে এককভাবে আমি ছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল বরিশালের। সকালে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বেশ ভালো ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিভিন্নমুখী অনিয়ম শুরু হয়। বেলা ১১টার মধ্যে আমার কাছে প্রতীয়মান হয় যে, এভাবে ভোটগ্রহণ চলতে পারে না। সিইসিসহ অন্য কমিশনারদের আমি জানাই বরিশালের ভোট কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। একপর্যায়ে কমিশনারদের সবাই ভোট বন্ধ করার বিষয়ে একমত হলেও নির্বাচন বন্ধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে কিনা এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হবে কিনা ভেবে নির্বাচন বন্ধ করা থেকে বিরত থাকি। ইতোমধ্যে ছয়জন মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন এবং একজন প্রার্থীই প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে বিজয়ী হন।’

‘বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সম্পর্কে পরে নির্বাচন কমিশনের যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়, তার সম্মুখে রিটার্নিং অফিসার যে বক্তব্য দেন তার কিয়দংশ (কিছু) তুলে ধরছি, ‘কোনো কোনো বিরোধী প্রার্থীদের পুলিশ কর্তৃক অযাচিতভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আবার সরকারি দলের প্রার্থীদের আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় পুলিশকে নিষক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, উল্টো বিরোধী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় পুলিশের অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে।’

‘অন্যদিকে নির্বাচনের সার্বিক পর্যালোচনায় তদন্ত কমিটির বক্তব্য, ‘বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না এবং ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার এ বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কোনো পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেননি। ভোটকেন্দ্রসহ নির্বাচনী এলাকায় অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নাজুক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অনেক ক্ষেত্রেই রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুসরণ করেননি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর বহিরাগতদের অবস্থান ছিল।’ ‘ডকুমেন্টসহ টাইপ করা ৭১ পৃষ্ঠার মূল তদন্ত প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দুটি স্থান মাত্র উদ্ধৃত করলাম।’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net